ল লাইফ রিপোর্টঃরা
জধানী দক্ষিণখান থানায় মানবপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় অমির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। বুধবার (২৩ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানবপাচার আইনে অমিকে গ্রেফতার দেখানোর পাশাপাশি ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, বুধবার (২৩ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মুস্তফা সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে অমিকে মানবপাচার আইনে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন তিনি। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত শুনানির জন্য আগামী ৩০ জুন দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে মালিবাগের সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানিয়েছিলেন, গত কয়েক দিন ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের মূল হোতা মো. তুহিন সিদ্দিক অমি।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা মানুষকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে আসছিল। কিন্তু তারা ভিকটিমদের চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেয়। এছাড়াও তারা অনেক নিরীহ লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি ভিকটিমদের যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে এখন তারা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অমি ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিল। তারা স্বল্প সময়রে মধ্যে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে মো. তুহিন সিদ্দিক অমিও ছিলেন।
এম/এ/হ