ল লাইফ রিপোর্টঃ অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী গাড়িচালক মালেককে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তার আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ডিজির গাড়ি চালাতেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারি গাড়ি চালক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রায় ২০-২৫ বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি নিজ কর্মস্থলে খুব প্রভাবশালী। দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকার ব্যবসাসহ নিজ কর্মস্থলে সাংগঠনিক পদবী কাজে লাগিয়ে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে অবৈধ বিপুল অর্থের মালিক বনে যান স্বাস্থ্যের এই গাড়িচালক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর র্যাব-১ উত্তরার আব্দুল্লাহপুর মোড় এলাকায় ডিউটিরত অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুরাগ থানা এলাকার বামনার টেক্সট রমজান মার্কেটের উত্তর পাশের ২৪নং বাসা হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় আসামি আব্দুল মালেক ওরফে বাদলের বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার জাল নোট, একটি স্যামসাং ফোন, একটি নোকিয়া ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামির মালেকের বাসা তল্লাশি করে খাটের তোষকের নিচে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
পরে এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন (শহর ও যান) বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫, এ(বি)সহ ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪৮৯(গ) ধারায় এবং অস্ত্র আইনে ১৮৭৮ এর ১৯(এ) ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।