ল লাইফ রিপোর্ট: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ৩০ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- জাহিদ, ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, লিমন ফকির, সালাহ উদদীন, নাইম, আরিয়ান রিপন, আ. রউফ, আসাদুজ্জামান, আজাহরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, মিজানুর রহমান, সোহেল মৃধা, আজিম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, সোহেল, খায়রুল কবির, ফরিদ, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, হেমায়েত, মেহেদী হাসান, ইসমাইল, রেজাউল করিম, মোন্তাজুল, কাজী মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায় ‘এদিন মতিঝিল থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম আকন্দ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের দুই দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করেন। একইসঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে মতিঝিল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার ৫১ জনকে আসামিকে করে মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের বাধা পেয়ে আন্দোলনকারীরা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দিকে যান। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে সৃষ্ট ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় সাত পুলিশ আহত হন।