( করোনা সংগীত -৫)
এবার যদি করোনার হিংস্র থাবা থেকে যাই বেঁচে
শৈশব,কৈশরের সোনালী দিনে ফিরে চাই যেতে
ফিরে গ্রামের সোনালী অতীতের নিবির ছায়ায়
জড়িয়ে ধরবো বুড়ু হিজল গাছটায় অতি মায়ায় ।
রেললাইনে দুপাশে বসবো সবাই প্রাণে রেখে প্রাণ
বন্ধুরা গাইবো হেরে গলায় বেসুরো আজিব গান
জোনাকিরা চারদিকে জ্বালিয়ে যাবে নিলাভ আলো
উদ্ভাসিত হবে নবলোকে নক্ষত্রের মত প্রিয় মুখ গুলো।
নাইট শো সিনেমা দেখে ফিরবো কারো বাড়ীতে
চুপি চুপি কাউকে ডেকে খাব ভাত এক থালিতে
কিংবা টেবিলে রাখা এক জনের খাবার মিলে সবাই
নিব এক সাথে ক্ষুধার জ্বালা মেঠানোর আশায়।
টিনের দুচালায় জমবে আড্ডা সকাল থেকে রাত
গাছের বাতাবী লেবুর ভর্তা আহা সে কি যে স্বাদ
গভীর রাতে চাচীর গাছের কচি শশা করে চুরি
রাতের ক্ষুধা মিঠাতে মেলেনা কখনো তার জুরি।
হারিয়ে যাব অজানায় মনের সূখে মিলে কজনায়
পরিবারের লোকজন হবে জড়ো আতংক ভাবনায়
হুরাহুরি অকারণ ফাঁটিয়ে দু চরণ ব্যাথায় কুঁকিয়ে
কেউ দিয়ে সূক টান কি হবে চিন্তায় যায় শুকিয়ে ।
কার্ড খেলে হেরে গিয়ে রেগে যেয়ে মারামারী বাধিয়ে
করে পণ ফিরবে না কোনদিন সেদিকে দু পা মারিয়ে
কেটে যায় সারারাত নির্ঘুম ঝরে অশ্রু দুকূল ছাপিয়ে
হতেনা দ্বিপ্রহর হাজির হয় দুচালায় নিজের অজানাতেই ।
ফিরে পেয়ে প্রান জড়িয়ে ধরে বন্ধুরা মলে দেয় দুকান
কেউ পাচায় লাথি মারে কেউ বা মারে কথায় বান
কেউ বলে চিৎকারে বলছিনা শালা আসবেই আজ
মরে যাই লাজে কেউ মনে করে গত দিনের সে অকাজ।
শৈশব কৌশরের সোনালী দিন গুলো যায় কি ভুলা
করোনার অবসরে ক্যানভাসে ভেসে উঠে স্মৃতিগুলা
এবার যদি যাই বেঁচে করাল গ্রাস থেকে করোনার
এসেছে সময় সেই মানুষ গুলোর এই ঋণ শুধিবার।
মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
চাঁদপুর।