বর্তমানে ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিয়ে একটি আলোচিত বিষয়।আলোচিত হওয়ার কারনটি হল বিয়েটা বৈধ না অবৈধ। অনেকে আমাকে জিজ্ঞেসা করেছেন স্বামীকে তালাক না দিয়ে স্ত্রী অন্য একজন কে বিয়ে করতে পারে কি না? আইনজীবী হিসাবে আমার উত্তর -না।
কারন দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪৯৪ ধারায় বলা হয়েছে “স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় পুনরায় বিয়ে করলে তা বাতিল হবে এবং সে ব্যভিচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবে”।এধারায় আরো কিছু ব্যাখা আছে আমি আর সেগুলো না দিলাম।
আবার মুসলিম আইন অনুযায়ী স্বামী থাকা অবস্থায় স্ত্রী অন্যএ বিয়ে করলে পরের বিয়েটি বাতিল।
মুসলিম আইন অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রী তালাক দিলে যাকে তালাক দিবেন তাকে এক কপি এবং তিনি যে এলাকায় বসবাস করেন সেই চেয়ারম্যান এর নিকট এক কপি প্রদান করতে হবে।
চেয়ারম্যান ৯০ দিনের মধ্যে আপোষের ব্যবস্হা করবেন।আপোষ না হলে ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে।
তামিমার ভাষ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে সে তালাক দিয়েছে ২০১৭ সালে এপ্রুভ হয়েছে। বিষয়টি আসলে আমার বোধগম্য নয়।সে তালাক দিলে তার প্রসিডিওর টা জানা উচিত। আবার ২০১৮ সালের পাসপোর্টে তার পূর্বের স্বামীর নাম ব্যবহার করেছে। সেটা কিভাবে করেছে আমি জানিনা।এ নিয়ে মামলা হয়েছে । বিষয়টি আদালত দেখবে।
কারো পারসোনাল বিষয় নিয়ে কথা বলা আমি পছন্দ করিনা। কিন্তু এখানে আইনী জটিলতা দেখা দিয়েছে । এ কারনে আমার লেখা।
ক্রিকেটার মানেই স্টার।অনেকে এদের ফলো করে। এদের চুল, ড্রেস ইত্যাদি ইত্যাদি। নাসিরের এই বিয়ে করার পূর্বে অনেক চিন্তা করা উচিত ছিল। কারন সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার। সে যে কাজ করবে তার দ্বারা অনেকে প্রভাবিত হবে। একটা চেয়ারে বসে সব ধরনের কাজ করা যায়না। নাসির না হয়ে যদি সাধারণ একজন মানুষ এই কাজ করতো তাহলে মিডিয়ায় এত ঝড় কখনো উঠতোনা।
আর তামিমার বিষয় টা বলি মেয়ে থাকা অবস্থায় সে যেভাবে নাচানাচি করেছে একটা মেয়ে হিসাবে আমি নিজেই লজ্জিত। নিজের মায়ের এমন নাচানাচি দেখার থেকে বিভৎস দৃশ্য আর হতে পারেনা।এগুলো আমাদের সমাজের উপর একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়তেছে।