ল লাইফ রিপোর্ট: কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন আলী।
রোববার বিকেলে দৈনিক মানবকন্ঠ ও দৈনিক সমকাল এর অনলাইন সংস্করণে এ সংক্রান্ত সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দ্রুত তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য স্ব-প্রণোদিত হয়ে তিনি এ আদেশ দেন।
আগামী ৩০ মে ২০২১ তারিখের মধ্যে বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য রৌমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে দৈনিক মানবকন্ঠ ও দৈনিক সমকাল এর রৌমারি ও কুড়িগ্রাম এর প্রতিনিধি এবং প্রকাশিত সংবাদে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গকে সাক্ষী রাখতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বর্ণিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কার্যক্রম ফৌজদারি অপরাধ মর্মে আপাতদৃষ্টিতে আদালতের নিকট প্রতিয়মান হয় এবং উক্তরুপ কার্য বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ০৪ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন যা উক্ত আইনের ১৫ ধারার অধীন শাস্তিযোগ্য। উপর্যুক্ত অবস্থাধীনে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণিত অপরাধ আমলে গ্রহণ করেছেন। সেই সাথে রৌমারি উপজেলায় সর্বমোট কতটি পয়েন্ট হতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার সংখ্যা নির্ণয়, বৈধভাবে বালু উত্তোলনের পয়েন্ট সংখ্যা নির্ণয়, অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনকারী ও সহায়তাকারীদের সনাক্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীরের ফুলুয়ারচর নৌকা ঘাট এলাকা, ধনারচর চরের গ্রাম, ধনারচর নতুনগ্রাম, কর্তিমারি নৌকা ঘাট এলাকা, কোমরভাঙ্গি পাখিউড়া, বলদমারা ঘাট, ঘুঘুমারি এলাকা, জিন্জিমারি নদীর ইজলামারি ব্রীজ, খেওয়ারচর রাবার ড্যাম ব্রীজ, লালকুড়া খেয়াঘাট, বাওয়াইর গ্রাম, সোনাভরী নদীর কান্দাপাড়া, চাক্তাবাড়ি এলাকাসহ শতাধিক পয়েন্টে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে মর্মে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।